বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেরপুরে কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২২ ১৩:২৯

ঝিনাইগাতী ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। পানির তোড়ে এরই মধ্যে উপজেলায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ঢলের পানি কমতে শুরু করলেও জনদুর্ভোগ বাড়ছে বলে জানা গেছে। নতুন করে সদরের গাজীরখামার ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে পানি ঢুকেছে।

তবে শনিবার সকাল থেকে উপজেলার ১০টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মালিঝিকান্দা ও হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৬ গ্রাম এবং নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের ৪ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া, আসামপাড়া, হাসলিগাঁও, নয়াপাড়া, বাতিয়াগাঁওসহ ছয়টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ কালিবাড়ীর বানিয়াপাড়া-তিনআনি সড়ক।

কিন্তু বগাডুবি বিলের পারের কাঁচা এ সড়কটির অন্তত পাঁচটি স্থানে ভেঙে গেছে। বানিয়াপাড়ায় একটি কাঠের সেতুর একপ্রান্ত ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। এতে এলাকার অন্তত ২০ হাজার মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন জেলা ও উপজেলা শহরের সঙ্গে। পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাঁটছে তাদের। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই হেঁটে, কেউ কেউ সাঁতরিয়ে কিংবা নৌকা ব্যবহার করে চলাচল করছেন।

বানিয়াপাড়া গ্রামের কবির মিয়া বলেন, ‘দুদিন ধরেই আমাগো গ্রামে পানি ঢুকছে। খুব কষ্টে আছি। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় হাট-বাজারে যেতে পারছি না। খাবার সংগ্রহে কষ্ট হচ্ছে।’

আসামপাড়ার স্কুলছাত্র নাইম মিয়া বলেন, ‘আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলেও রাস্তায় পানি ওঠায় স্কুলে যেতে দেরি হচ্ছে। সময় মতো পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে পারছি না।’

এদিকে রোববার সকাল থেকে সদরের গাজীরখামার ইউনিয়নের অন্তত ৪টি গ্রামে ঢলের পানি ঢোকার খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে এলজিইডির মাধ্যমে ভাঙনকবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে কাজ শুরু করা হবে।’

এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানির তোড়ে এরই মধ্যে উপজেলার গ্রামীণ ও পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ঢলের পানির তোড়ে ১৮০ ফুট এলজিইডির পাকা সড়ক, দেড় কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, মহারশি নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানের দেড় কিলোমিটার এবং সোমেশ্বরী নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে এক কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢলে অর্ধশত কাঁচা ও আধাপাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এসব ভাঙা সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্টের দ্রুত মেরামত করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দ ১০ টন জিআর চাল বিতরণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর