ফরিদপুর বাস টার্মিনাল থেকে খোয়া যাওয়া সেই বাসটি পাওয়া গেছে ঝিনাইদহে। পুলিশ বলছে, বাসের হেলপারই গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।
তিনি জানান, ‘প্রিয়াঙ্কা’ নামের বাসটি ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুর উপজেলার তালশা এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রোববার ভোরে উদ্ধার করা হয়। তবে হেলপার ছলেমান মণ্ডলকে আটক করা যায়নি।
যেভাবে বাস খোয়া যায়
ঢাকা মেট্রো ব-১১৯৪৯৩ নম্বরের ওই বাসের মালিক ও ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিচুর রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার গাড়িটি জেলার লোকাল রুটে চলাচল করে। মধুখালী উপজেলার কামারখালী থেকে ছেড়ে এসে শুক্রবার বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটের দিকে ফরিদপুর বাস টার্মিনালে আসে বাসটি। প্রতিদিনের মতো চালক ফরহাদ মণ্ডল রাতে বাসটি টার্মিনালে রেখে বাড়িতে যান। হেলপার ছলেমান রাতে বাসেই ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে বাস টার্মিনালে এসে গাড়িটি আর পাওয়া যায়নি। হেলপার ছলেমানও উধাও, তার মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে কোতোয়ালি থানায় জিডি করা হয়।’
যেভাবে পাওয়া গেল বাস
বাসের মালিক মো. আনিচুর রহমান জানান, জিডির পর নিখোঁজ হেলপার ছলেমানের বাবা-মাকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। এ সময় ছলেমানের মা জানান, তার ছেলে অজ্ঞাতস্থান থেকে ফোন করে জানিয়েছে, সে বাসটি নিয়ে গেছে। বাসটি ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুর এলাকার তালশায় আছে। পরে সেখান থেকে বাসটি উদ্ধার করা হয়।তিনি জানান, বাস থেকে ব্যাটারিসহ আনুমানিক ২০ হাজার টাকার মালামাল খোয়া গেছে। নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে সেটি ফরিদপুর টার্মিনালে আনা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, বাসটি উদ্ধারের পর জিডি মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। হেলপারকে ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।