বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরে নারীর মরদেহ, স্বামী গ্রেপ্তার

  •    
  • ১২ জুন, ২০২২ ২০:২০

স্থানীয়রা ওসিকে জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয়ে তর্কাতর্কি হয়। দুপুরের দিকে শ্বশুর আকবর আলী বাজারে যান ও শাশুড়ি জুলেখা বেগম নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। তারা বিকেলে বাড়ি ফিরে ঘাটের ওপর পুত্রবধূ ফাতেমার মরদেহ দেখেন। মোস্তাফিজুর তখন বাড়িতেই ছিলেন।

নওগাঁর পোরশায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের দীঘিপাড়া শাহাপুকুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে রোববার বিকেলে উদ্ধার করা হয় ওই নারীর মরদেহ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে সুরতহাল শেষে জানিয়েছে পুলিশ।

ফাতেমা খাতুন নামে ওই নারীর স্বামীর নাম মোস্তাফিজুর রহমান। ওই বাড়িতে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন তিনি।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে ১০ বছর আগে বিয়ে হয় মোস্তাফিজুরের। তাদের আট বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে আছে। চাকরির জন্য মোস্তাফিজুর চার বছর ধরে ঢাকায় ছিলেন। রোববার সকালে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন।

স্থানীয়রা ওসিকে জানান, বাড়ি ফিরেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয়ে তর্কাতর্কি হয়। দুপুরের দিকে শ্বশুর আকবর আলী বাজারে যান ও শাশুড়ি জুলেখা বেগম নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। তারা বিকেলে বাড়ি ফিরে ঘাটের ওপর পুত্রবধূ ফাতেমার মরদেহ দেখেন। মোস্তাফিজুর তখন বাড়িতেই ছিলেন। জুলেখার চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে পুলিশে খবর দেন।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মোস্তাফিজুর রহমান তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। ফাতেমার পরিবারের লোকজনও হত্যার অভিযোগ করেছেন।

ফাতেমার বাবা রবিউল ইসলামের অভিযোগ, তার মেয়েকে মোস্তাফিজুরই হত্যা করেছেন, তিনি এর বিচার চান।

রবিউলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পোরশা থানায় মোস্তাফিজুরের নামে হত্যা মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকবর ও জুলেখাকেও থানায় নেয়া হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য ফাতেমার মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

পোরশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোস্তম আলী জানান, ফাতেমার চোখ-মুখ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর