ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবুল মিয়া নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় মামলায় দুই ছেলেসহ বাবাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক আমলি আদালতের বিচারক নিশাত জামান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে নিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় গফরগাঁও থানা পুলিশ। বিচারক মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন গফরগাঁওয়ের সালটিয়া ইউনিয়নের ষোলহাসিয়া এলাকার নুর ইসলাম এবং তার ছেলে সুবল মিয়া ও মো. সুমন।
ময়মনসিংহের ভালুকার মেদুয়ারী ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে শনিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক স্কোয়াড কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০ মে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে সুপারিগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে নুর ইসলাম ও বাবুল মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুর ইসলাম তার তিন ছেলে ও দুই আত্মীয়কে নিয়ে বাবুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
‘স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নিলে চিকিৎসকরা বাবুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ২৫ মে সেখানে মারা যান বাবুল।’
র্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার জানান, ঘটনার দিন বাবুলের ছোট ভাই মো. ফারুক ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় মামলা করেন। বাবুল মারা যাওয়ার পর তা হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
মামলার পর আসামিরা পলাতক ছিলেন। ভালুকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গফরগাঁও থানার ওসি মো. ফারুক আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘র্যাব মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে আগে ৫ ও ৬ নম্বর আসামি নিজাম উদ্দিন ও তার ছেলে মো. সোহাগকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
৪ নম্বর আসামি ইসমাইল এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পলাতক ইসমাইলও নুর ইসলামের ছেলে বলে জানিয়েছেন ওসি।