ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন। বলেন, ‘কেউ চাইলে ভোট শুরুর আগে ভোট দিতে পারবেন না, আবার ভোটের শেষেও ভোট দিতে পারবেন না। ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড়ে পালালেও কিছু হবে না। তাই ইভিএমের ভোট একেবারেই নিরাপদ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ইভিএমের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর ঠাকুরপাড়ায় রামকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার দায়িত্ব। দুদিনের প্রশিক্ষণে ইভিএমের প্রতি বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতা নিয়ে তিনি খুবই খুশি।
মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘ইভিএমে ব্যালটের মতো এক ব্যক্তির একাধিক ভোট দেয়ার একেবারেই সুযোগ নেই। কারণ আঙুলের ছাপ একবার প্রযোজ্য হবে।’
সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ নেয়া মোর্শেদা বেগম বলেন, ‘আমাদের যেভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, তাতে এক ভাগও কারচুপির সুযোগ নেই। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আমি মনে করি ইভিএমের বিকল্প নেই।’
তিনি জানান, নগরীর অশোকতলা ইসহাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
লালমাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জুনায়েদ কবিরও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তার কেন্দ্র নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাপ্তান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রশিক্ষণ শেষে জুনায়েদ বলেন, ‘আপনি ইভিএমে একবার ভোট দিলে আপনার পুরো হিস্ট্রি চলে আসবে। দ্বিতীয়বার হাতের ছাপ পরিবর্তন করে ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে না। পাশাপাশি কেউ যদি রেজাল্ট পরিবর্তন করতে চায় তাও একেবারে অসম্ভব।’
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ হয় কুমিল্লা জিলা ও ফয়জুন্নেচ্ছা স্কুলে। শনিবার নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৯ জুন থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ চলবে ১২ জুন পর্যন্ত ।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নাবী চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় ২ হাজার ১৬৫ জন অফিসার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। ধাপে ধাপে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। যার মধ্যে ৫ জন মেয়রপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন। ভোটার আছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
যার মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ, ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২ জন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬৪০টি।