বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইমাম-ওলামাদের মিছিল থেকে আ.লীগের মঞ্চে হামলা-ভাঙচুর

  •    
  • ১০ জুন, ২০২২ ১৮:৪৬

সমাবেশস্থলের পাশেই শহীদ মিনার চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলন চলছিল। সেখানে উচ্চ আওয়াজে মাইকিং হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মিছিলকারীরা। তাদের কয়েকজন সম্মেলনস্থলে গিয়ে মাইক বন্ধ করতে বলেন। একপর্যায়ে তারা সম্মেলনের মঞ্চে উঠে মাইক, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন ও ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন।

গাইবান্ধা জেলা শহরে ইমাম-ওলামা পরিষদের মিছিল থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ জনকে আটক করেছে।

ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেত্রী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে অবমাননা করেছেন- এমন অভিযোগে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি গাইবান্ধাতেও শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভে নামে সংগঠনটি। সে সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, দুপুরে জুমার নামাজের পর শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের হয়। জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামি দলের ব্যানারে শত শত নেতাকর্মী তাতে অংশ নেন। মিছিলটি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে কাচারিবাজার মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তারা সেখানে সমাবেশ করেন।

সমাবেশস্থলের পাশেই শহীদ মিনার চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলন চলছিল। সেখানে উচ্চ আওয়াজে মাইকিং হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মিছিলকারীরা। তাদের কয়েকজন সম্মেলনস্থলে গিয়ে মাইক বন্ধ করতে বলেন। একপর্যায়ে তারা সম্মেলনের মঞ্চে উঠে মাইক, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন ও ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন।

এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির ভিডিওগ্রাফার সুমন মিয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ডিবিসির গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিক্তু প্রসাদ জানান, হামলাকারীরা তাদের ক্যামেরাও ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার পর পরই জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল করেন।

জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু বলেন, ‘পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ভণ্ডুল করতে আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদের মিছিলে অংশ নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। এই হামলাকারীরা জামায়াত-শিবিরের নাকি ইসলামি কোনো দলের নেতাকর্মী, তা তদন্ত করলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে।’

সদর থানার ওসি মাসুদুর জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর