চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে প্রাণ হারানো ফায়ার ফাইটার সাকিল তরফদারের মৃত্যুর সংবাদ প্রথমে তার মায়ের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়। ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন জেসমিন বেগম।
মায়ের কোনো প্রার্থনাই ফেরাতে পারেনি ছেলেকে। একপর্যায়ে মা জানতে পারেন ছেলে আর নেই।
সাকিলের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের শুকদাড়া গ্রামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে নেয়া হয়।
গার্ড অব অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাকিলের মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে নেয়া হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শ্রদ্ধা জানান। সেখানেই সাকিলের প্রথম জানাজা হয়।
- আরও পড়ুন: মা জানেন না ছেলে বেঁচে নেই
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক সালেহ উদ্দীন বলেন, ‘যারা অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় মারা যান, তারা সাধারণত শহীদ হন। সাকিলও শহীদ হয়েছেন। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।’
২০১৮ সালের জুনে খুলনার কমার্স কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পান সাকিল। প্রথমে তিনি বটিয়াঘাটা ফায়ার স্টেশনে, পরে মোংলা ইপিজেডে ফায়ার স্টেশনে বদলি হন। সেখান থেকে ছয় মাস আগে তাকে চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে পাঠানো হয়।
গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের মৃত ৯ সদস্যের একজন সাকিল।