সীতাকুণ্ডে বিএন কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নিখোঁজদের তালিকায় আছেন মিয়ানমারের এক রোহিঙ্গা নাগরিকও। নিখোঁজ ওই রোহিঙ্গার নাম মোহাম্মদ ফারুক।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফারুককে খুঁজতে আসেন তার ভাই মোহাম্মদ কায়েস।
বিস্ফোরণে নিহত ৪৩ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ১৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। এ ছাড়া অজ্ঞাত বেশ কজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ধারণা করা হচ্ছে এসব অজ্ঞাতদের মধ্যেই ওই রোহিঙ্গা ফারুক আছেন।
নিখোঁজ ফারুক কনটেইনার ডিপোটিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে দাবি করেছেন তার ভাই কায়েস।
কায়েস জানান, গত পাঁচ মাস ধরে তার ভাই বিএম কনটেইনার ডিপোটিতে কাজ করছেন। শনিবার রাতে আগুন লাগার পর ভিডিও করে তা পরিবারের সদস্যদেরও দেখিয়েছেন। কিন্তু রাত ১০টার পর তার আর কোনো খোঁজ হদিশ পাওয়া যায়নি।
কায়েস বলেন, ‘ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা আরেকজনের সঙ্গে রোববার সকালে যোগাযোগ করলে সে জানায় আহত অবস্থায় ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখেছে। কিন্তু এরপর ভাইকে কোন ওয়ার্ডে নেয়া হয় সেটি সে জানতে পারেনি।’
কায়েস আরও বলেন, ‘আমরা এসে হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ভাইকে পাইনি। শুনেছি, ফারুক নামের একজনকে আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হয়েছে। তিনি আমার ভাই কি-না জানি না।’
পরিবার নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন কায়েস। তিনি দাবি করেছেন, ডিপোটিতে আরও অন্তত ২০ রোহিঙ্গা কর্মরত ছিলেন।
বিএম ডিপোর মুখপাত্র মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকি বলেন, ‘ডিপোতে রোহিঙ্গা কাজ করতেন এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
নিখোঁজ রোহিঙ্গার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে জেলা প্রশাসনের বুথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মুহাম্মদ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। তবে, আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’