আর মাত্র ৮ দিন পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোট। প্রচারের সময় শেষ হচ্ছে আরও আগে ১৩ জুন মধ্যরাতে। হাতে সময় কম থাকায় জনসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রার্থীদের।
ভোটারদের কাছে নিজেকে মেলে ধরতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভোটে পরাজিত করতে প্রচারে নানা কৌশল নিচ্ছেন প্রার্থীরা। কথায় ঘায়েল করার পাশাপাশি জনসমর্থন অর্জনে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার আদালত চত্বরে প্রচার চালান সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে লড়াইয়ে নেমে দুইবার বাজিমাত করা বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু।
এ সময় সাংবাদিকরা নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের অভিযোগ সামনে আনেন। জবাবে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আপনার বৈধ টাকা থাকলে আপনি চান্দের (চাঁদের) দেশে বাড়ি বানাতে পারেন। এতে কার কী আসে যায়। আমি কানাডায় বেগম পাড়ায় বাড়ি বানাইনি। আমার ইচ্ছাও নাই দেশের বাইরে থাকার।’
নগরীর কান্দিরপাড়ে রূপায়ন টাওয়ারের নকশা অনুমোদনে ৮০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সাক্কু বলেন, ‘এসব ভুল কথা। আমি শুনছি নৌকা প্রতীক আনতে ৬০ কোটি টাকা ঘুষ দিছে। আমি তো এই কথা বিশ্বাস করি না। দল যারে ভালো মনে করছে তারে নমিনেশন দিছে।’
নির্বাচনি মাঠ কেমন, কেন্দ্র নিয়ে কোনো সমস্যা আছে কি না এমন প্রশ্নে সাক্কু বলেন, ‘১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টি ঝুঁকিপূর্ণ। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভোট হবে আগামী ১৫ জুন। নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। ভোটকেন্দ্র ১০৫টি। ১৩ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারের সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।