নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছেন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লা বাড়ির সামনে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ হামলা হয়।
হামলায় জখম হয়েছেন ৪ নম্বর চরকাঁকড়া ইউপির চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শেখ ফরিদ খোকন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে চেয়ারম্যান হানিফ সবুজকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে বসুরহাট যাচ্ছিলাম। মোটরসাইকেলে আমার সঙ্গে ছিলেন মেম্বার শেখ ফরিদ খোকন। সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ২০-৩০ জন হামলা চালায়। রড, হাতুড়ি দিয়ে তারা মাথায় ও বুকে জখম করে চলে যায়।’
হামলাকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজসহ পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে ছিলেন বলে জানান চেয়ারম্যান।
অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার ওমর ফারুক সবুজ বলেন, ‘হামলার কথা আমি শুনেছি, এতে আমি জড়িত নই। ওনার সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব নেই। তার পরও তিনি হামলায় আমাকে জড়িত করলে কিছু বলার নেই।’
বসুরহাট বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘আমি গত সোমবার ঢাকায় গিয়েছিলাম, আজ ফিরছি। পথে আছি। এলাকায় না পৌঁছে কীভাবে হামলায় অংশ নিলাম? নির্বাচনের কারণে আমাদের একটু দূরত্ব তৈরি হলেও তিনি আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করবেন, তা বিশ্বাস করি না।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, ‘ঘটনার বিস্তারিত জানি না। তবে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ওমর ফারুক সবুজ পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী। আর চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী। গত নির্বাচনে ফখরুল ইসলাম সবুজ ও হানিফ সবুজ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুই নেতার সমর্থনে।’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের মাথা, বুকে ও পায়ে জখম হয়েছে। বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মেম্বার শেখ ফরিদ খোকন এখানে ভর্তি আছেন।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পূর্বশত্রুতার জেরে এ হামলা হয় বলে জানা গেছে। তবে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।’