মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদা।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি করা হয়।
সোমবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
আবেদনের পক্ষে নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ চান এস কে সিনহা।
পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে। দীর্ঘ দেড় বছর পর সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণ হয় দুদকের তদন্তে।
তখন মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে উল্টো নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১ এ ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি নাজমুল হুদা তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে বা মিথ্যা জেনেও বিজ্ঞ আদালত ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং তার নিজের বিরুদ্ধে থাকা ২০০৮ সালের মামলাটি প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন মানসে মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করে শাহবাগ থানায় ওই মামলা করেছেন মর্মে দুদকের তদন্তে ওঠে আসে।
২০২১ সালের অক্টোবর নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ অভিযোগপত্র জমা দেন।
একই বছর ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে মামলাটি পরে বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেয়।
গত ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশও দেয়।