সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আহতদের সহায়তায় এবার এগিয়ে এসেছেন পরিবহন মালিকরা।
বেসরকারি রিল্যাক্স পরিবহন কর্তৃপক্ষ রক্তদানে আগ্রহী ব্যক্তিকে বিনা মূল্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পৌঁছে দিচ্ছে।
রবি থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এই বিশেষ সেবার আওতায় দুজন রক্তদাতা ঢাকায় গেছেন বলে রিল্যাক্স পরিবহনের পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিন জানিয়েছেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা একটা মানবিক সংকট। এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য যে যার মতো করে এগিয়ে এসেছেন। তাই আমাদের চেয়ারম্যান রক্তদাতাদের জন্য এই সেবার ব্যবস্থা করেছেন।’
কীভাবে আপনারা আগ্রহী ব্যক্তিকে চূড়ান্ত (সিলেক্ট) করছেন- এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা আগ্রহী ব্যক্তির কাছে জানতে চাচ্ছি তিনি কাকে রক্ত দিতে চাচ্ছেন এবং ওই রোগী কোথায় ভর্তি আছেন। তার (ডোনারের) দেয়া তথ্য আমরা যাচাই করছি। এর পরই তিনি যেতে পারবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’
শনিবার রাতে দুর্ঘটনার পর নেগেটিভ রক্তের সংকট দেখা দিলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গভীর রাতে বিনা মূল্যে বাসের ব্যবস্থা করে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতি। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাসপাতালে রক্তদাতাদের পৌঁছে দিতে দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাজাহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওইদিন রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বাস আর একটি অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো গাড়ি ছিল না। ওই সময় হাসপাতালে নেগেটিভ রক্তের প্রচুর সংকট। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০ রক্তদাতা যেতে পারছিল না গাড়ির জন্য।
‘তখন কয়েকজন ছাত্রের ফোন পেয়ে আমি দুটো বাসের ব্যবস্থা করে দিই। আসলে সবাই যে যার মতো এগিয়ে আসছিল তখন। আমাদেরও একটু শরিক হওয়া আরকি।’
রক্তের সংকটের সময় রক্তদাতাদের বিনা মূল্যে আনা-নেয়া করতে দেখা গেছে কয়েকজন বাইকারকে। তাদের মধ্যে একজন একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা মুক্তার হোসেন।
ওই সময় তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কোনোদিন রক্ত দিইনি। কিন্তু টিভিতে এই ঘটনা দেখে বাসায় থাকতে পারিনি। আমার রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ, আমি রক্ত দিতে এসেছিলাম মূলত। কিন্তু এসে দেখি বি পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন নাই।
‘তাই এখানে কোনো না কোনোভাবে হেল্প করতে চাচ্ছিলাম। তখন চিন্তা করলাম রক্তদাতারা তো স্টুডেন্ট, তাদের টাকা-পয়সার সমস্যা থাকে। তাই তাদের (যারা রক্তদাতা) গন্তব্যে দিয়ে আসি।’