চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর আগুনে মৃত ফায়ার ফাইটার মো. আলাউদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
সাদা কাফনে শেষবারের মতো সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহ যখন নোয়াখালীর চাটখিলের বানসা গ্রামে পৌঁছায়, স্বজন ও গ্রামবাসীর আর্তনাদে এক শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সকাল ৯টায় উপজেলার কামালপুর মোহাম্মদ হাশেম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলাউদ্দিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় চিরঘুমে থাকা বাবার পাশে অশ্রুসিক্ত চোখে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে ছয় বছরের ছেলে ফাহিম।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি ইউপি চেয়াররম্যান, আলাউদ্দিনের ছয় ভাই, বাবা আবদুর রশিদসহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় বানসা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এ ফায়ার ফাইটারকে দাফন করা হয়। সবার সঙ্গে বাবার কবরে মাটি দিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত করে শেষ বিদায় জানায় শিশু ফাহিম।
বাবা আব্দুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ১৫ বছর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন ছেলে আলাউদ্দিন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল ঢাকা, পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামর আগ্রাবাদ, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, কুমিল্লা এবং সর্বশেষ চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশন।
গত সপ্তাহে ছুটিতে বাড়িতে আসেন আলাউদ্দিন। সাত দিনের ছুটি শেষে শনিবার সকালে চট্টগ্রামের কুমিরা স্টেশনে যোগদান করেন তিনি।
রাতে ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে তিনি প্রথম ইউনিটের সদস্য হিসেবে আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন। এরপর বিস্ফোরণের সময় থেকে নিখোঁজ হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।
ছয় ভাই-চার বোনের সংসারে ভাইদের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন আলাউদ্দিন। তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে তার পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।