পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলায় বাড়ি হলেও লরিচালক সোহেল থাকেন ঢাকার মিরপুরে।
শনিবার গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে। সেখানে আগুন লাগলে সেই আগুনের ভিডিও মোবাইল ফোনে নিজের স্ত্রীকে দেখান তিনি। কিন্তু কে জানতো, সেই আগুনই প্রাণ কেড়ে নেবে তার!
রোববার ঘটনাস্থল থেকে অন্যদের সঙ্গে সোহেলের মরদেহও নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মরদেহ শনাক্ত করেন চাচা আনিসুর রহমান।
মরদেহ শনাক্তের পর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দাঁড়িয়ে আনিসুর জানান, ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছিলেন সোহেল। পরে স্ত্রীকে ভিডিও কল করে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন দেখিয়ে বলেন, ‘দেখো আগুন লেগেছে এখানে।’
কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।
চাচা আনিসুর বলেন, ‘তিন মেয়ের বাবা সোহেল। সবচেয়ে ছোট মেয়েটির বয়স মাত্র মাত্র তিন মাস।’