শেরপুর জেলা সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাটের বাসিন্দা রমজানুল ইসলাম রনি। সীতাকুণ্ডের ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মী কনটেইনার ডিপোয় আগুন লাগার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
রনির মৃত্যুর খবর রোববার সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়িতে আসে।
রনির মামা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. মুকুল জানান, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রনি সবার বড়। দুই বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি হয় তার। প্রশিক্ষণ শেষে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পোস্টিং হয়।
সেখানেই চাকরি করছিলেন রনি। আট মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। কর্মস্থলেই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন।
মুকুল জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাসা থেকে রনি বের হন। এরপর কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার স্ত্রী সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম হাসপাতাল মর্গে গিয়ে রনির মরদেহ পান।
রনির বাবা আকরাম হোসেন একটি হত্যা মামলায় জেলে রয়েছেন। তার মা রত্মা বেগম ছেলের মরদেহ আনতে চট্টগ্রামে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোয় আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় রোববার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের গুরুতর দুই কর্মীকে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোয় শনিবার রাতে আগুন লাগে। আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।