প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ও আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে নানকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল অগ্নিকাণ্ডে আহতদের খোঁজখবর নেন।নানক বলেন, ‘আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং চট্টগ্রামের ছাত্রলীগকে অগ্নিদগ্ধদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় যেখানে রক্তের প্রয়োজন পড়বে, সেখানেই রক্ত দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে কী বার্তা রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন। গতকাল মধ্যরাত থেকে তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। তিনি বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
'এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখতে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. রুহুল হক ও স্বাস্থ্য-জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিকে ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।’
নানক জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সামন্ত লাল সেনকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি যেন চট্টগ্রামে সরেজমিনে গিয়ে অগ্নিদগ্ধদের দেখে আসেন।’
বার্ন ইনস্টিটিউটে এ সময় নানকের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে আগুন লাগে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। তাদের প্রায় সবাইকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।