বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু সবার সম্পত্তি: ফখরুল

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১৬:৩২

খালেদা জিয়া দাওয়াত পেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন কি না সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পদ্মা সেতু কারও পৈতৃক সম্পত্তি না। যমুনা সেতুর কাজও করেছে বিএনপি। তবে তারা (আ.লীগ) ক্ষমতায় বসেই সব কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করতে শুরু করে। একজনের নামেই সব ব্যানার, ফেস্টুন ও মূর্তি তৈরি হয়ে যায়। তারা সেতুর নামটাই পরিবর্তন করে দিল। বিএনপির অবদান তারা কখনই স্বীকার করে না।’

পদ্মা সেতু কোনো দল বা ব্যক্তির সম্পত্তি নয়, এটি সবার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘এটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে করা। সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’

ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীতে শনিবার এক অনুষ্ঠান শেষে ওবায়দুল কাদেরকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাওয়াত পাবেন কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা তো কাউকে দাওয়াত দেব না বলিনি। নিয়মের মধ্যে পড়লে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দেব। এখন উনি তো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিএনপি চেয়ারপারসন হিসেবে দাওয়াত পাওয়ার কথা। তবে আমরা নিয়ম জেনে তারপর দাওয়াত দেব।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নেতারা দাওয়াত পাবেন। তাদের অন্য শরিক দল বাম, ডান সবাইকে দেব। তারা আসা না আসা বড় কথা না, আমরা তাদের দাওয়াত দিচ্ছি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

খালেদা জিয়া দাওয়াত পেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন কি না সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পদ্মা সেতু কারও পৈতৃক সম্পত্তি না। যমুনা সেতুর কাজও করেছে বিএনপি। তবে তারা (আ.লীগ) ক্ষমতায় বসেই সব কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করতে শুরু করে। একজনের নামেই সব ব্যানার, ফেস্টুন ও মূর্তি তৈরি হয়ে যায়। তারা সেতুর নামটাই পরিবর্তন করে দিল। বিএনপির অবদান তারা কখনই স্বীকার করে না।’

পদ্মা সেতু নিয়ে অহেতুক অযৌক্তিক কথাবার্তা ছড়িয়ে জাতিকে বিভক্তির চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখানে যে যখন ক্ষমতায় যায় সব নিজেদের দখলে নিতে চায়। সংকট পদ্মা সেতু নিয়ে নয়। সংকট এ দেশের মানুষের ভোটাধিকারের, কাউকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেয়া।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া, সংকট হচ্ছে বিচার না পাওয়া। আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি। জনগণকে একত্রিত করার চেষ্টা করছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র করার চেষ্টা করছি।’

পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার এই স্লোগান কাউকে বা দেশের বিশেষ কোনো ব্যক্তিকে হুমকি হিসেবে দেয়া হয় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদিও এ স্লোগান বিএনপি থেকে দেয়া হয়নি তবুও বলে রাখি, এই স্লোগান বোঝায় ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর দেশের এক ভয়াবহ পরিস্থিতে থেকে সিপাহি জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে ক্ষমতা অর্পণকে।’

নির্বাচন নিয়ে ফখরুল জানান, জনগণের ভোটের অধিকার ফেরাতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরীফ ইসলামসহ অন্য নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর