বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি যে কারণে

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১২:০৫

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডিপোর কর্মকর্তাদের বরাতে আমরা জানতে পেরেছি, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। প্রথমে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ অবহিত করেনি।’

রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা।

তবে ডিপো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তারা রাসায়নিকের কথা জানিয়ে পানির পরিবর্তে এক্সটিংগুইশার ব্যবহারের কথা বললেও ফায়ার সার্ভিস তা শোনেনি।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিপোর কর্মকর্তাদের বরাতে আমরা জানতে পেরেছি, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। প্রথমে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ অবহিত করেনি।

‘এমন রাসায়নিকের আগুন নেভাতে হয় ফগ সিস্টেমে। আমরা এখন এই পদ্ধতিতে এবং ফোমের মাধ্যমে এখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।’

বি এম কনটেইনার ডিপোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস এলে তাদেরকে রাসায়নিক পদার্থের বিষয়টি জানানো হয়। ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুনে নেভাতে অনুরোধ করি। ফায়ার সার্ভিস তা ব্যবহার না করে পানি দেয়।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বি এম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাত ৯টার দিকে আগুন লাগলেও এখনও তা নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। সকালেও ক্ষণে ক্ষণে রাসায়নিক পদার্থের কারণে বিস্ফোরণ হচ্ছে। কনটেইনারগুলোতে মূলত আছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড।

ডিপো কর্তৃপক্ষ জানায়, স্মার্ট গ্রুপের দুইটি প্রতিষ্ঠান আছে। আল রাজি কেমিক্যাল কমপ্লেক্স এবং বি এম কনটেইনার ডিপো। চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদে আল রাজি কেমিক্যালের কারখানায় রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। এরপর তা রপ্তানির জন্য কনটেইনারে বি এম কনটেইনার ডিপোতে রাখা হয়।

আগুনের পর রোববার সকালে ডিপোতে কেমিক্যালের জার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিটি জারে ৩০ কেজি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রাখা ছিল।

বি এম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রপ্তানির জন্য এসব রাসায়নিক পদার্থ ডিপোতে রাখা ছিল। শ্রমিকদের সিগারেটের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

‘আমাদের সব কর্মকর্তাই গুরুতর আহত হয়েছেন। বহু টাকা ক্ষতির মুখে আমরা। এরপরেও আগুনে হতাহতদের পাশে থাকব।’

সকালে আগুনের ঘটনা পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টায় আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও নেভানো যায়নি। আমি ২০ মিনিট ঘুরে দেখেছি। এখানে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। এই রাসায়নিকের জন্য আগুন নেভানো যাচ্ছে না।

‘আমি মোট ছয়টি বিস্ফোরণ শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষের কাউকে আমরা পাইনি। তারা থাকলে জানা যেত কোন কনটেইনারে কী আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর