বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর আগুনে মৃত বেড়ে ৪৫

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১০:২০

ডিসি বলেন, ‘সংকটাপন্ন ৮ জন রোগীকে হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশসেরা চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন ও তার টিম আগামীকাল সকালের প্রথম ফ্লাইটে চট্টগ্রামে এসে রোগীদের চিকিৎসার কাজ শুরু করবেন।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীও রয়েছেন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চমেক হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, আগুনের ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪৬ জন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সংকটাপন্ন ৮ জন রোগীকে হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশসেরা চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন ও তার টিম আগামীকাল সকালের প্রথম ফ্লাইটে চট্টগ্রামে এসে রোগীদের চিকিৎসার কাজ শুরু করবেন।

‘শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা চেক দেয়া হবে। আজ ১৩ জনের পরিবারকে এই টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নিহতদের ৫০ হাজার ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে।’

বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর থেকে আসা কয়েকটি ইউনিট।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। তিনি কৌশল নির্ধারণে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান জানান, কনটেইনার ডিপোতে পানির উৎস না থাকায় রাতে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের খুদেবার্তায় জানানো হয়, আগুনে প্রাণ হারানো বাহিনীর সাতজনের মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন।

আগুনের পর বিস্ফোরণ

ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে।

কিছু পরে ঘটনাস্থলে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়, তবে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।

রাত ১১টার দিকে ডিপোতে কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হয়। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সকাল পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে।

ঘটনাস্থল থেকে নিউজবাংলার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নূর নওশাদ জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ভয়ে অনেকে মালামাল সরানোর চেষ্টা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর