‘ভাইয়ি হইয়্যিদে আঁরে বাঁচা! আই হইদ্যি কি বাঁচাইতাম? কী অইয়্যি যে? আঁই তো কিচ্ছু ন চিনি। সীতাকুণ্ড তুই হণ্ডে কাজ গরজ্জে?’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সির ভেতরে নিহত মবিনুল হকের কথা বলে এভাবেই বিলাপ করছিলেন মো. ফরহাদ নামের এক কিশোর।
তার চাচাতো ভাই মবিনুল সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে নিহতদের একজন।
ঘটনার সময় ফোনে চাচাতো ভাই ফরহাদের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন মবিনুল।
তিনি বলেন, “আমাকে বলেছিল, ‘আমাকে বাঁচা! আমাকে বাঁচা!’ আমি তো কিছু চিনি না। আমি বাঁচাতে পারিনাই।’’
তিনদিন পর একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর ছনুয়ায় যাওয়ার কথা ছিলো বলেও জানান তিনি।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগে এরই মধ্যে চার জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে। তবে কনটেইনার ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
আগুনে বেশ হতাহতের আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এরই মধ্যে দুই শতাধিক আহতকে বিভিন্ন মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের চিকিৎসায় সব ডাক্তারকে হাসপাতালে তলব করেছেন সিভিল সার্জন।