বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি ঘুমিয়ে থাকলেও সরকারের পতন হবে: গয়েশ্বর

  •    
  • ৪ জুন, ২০২২ ১৯:১০

গয়েশ্বর বলেন, ‘এই অবুঝ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলি, রাস্তায় নেমে আমাদের ওপর আক্রমণ অথবা মারামারি ও গোলাগুলি করার আগে আপনার নেত্রীর কাছে কানে কানে জিজ্ঞাস করেন, তিনি কি আত্মসমর্পণ করবেন না? যদি করে কখন? তারিখটা খুব কাছাকাছি। ১৩ বছর যেহেতু আমরা অপেক্ষা করছি, কয়েকটা দিন বা মাস এটা তো অনেক দিন না?’

নিজেদের অঙ্গীকার থেকে সরে না এসে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির সাহস, আস্থা ও মনোবল অটুট রেখে বিএনপি ঘুমিয়ে থাকলেও সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের ‘আত্মসমর্পণের’ জন্য ১৩ বছর অপেক্ষা করেছে, আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে পারবে। অঙ্গীকার বজায় রেখে ঘুমিয়ে থাকলেও সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রমিক দলের উদ্যোগে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীর’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর সকাল বেলাও সৈনিকরা জানত না একটু পরে পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানত না এরশাদকে পদত্যাগ করতে হবে। আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিচের দিকের নেতাকর্মীদের যে আষ্ফালন, তা দেখে মনে হচ্ছে তারাও জানেন না তাদের নেত্রী কখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো আত্মসমর্পণ করে, এরশাদের মতো পদত্যাগ করবেন।

‘এই অবুঝ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলি, রাস্তায় নেমে আমাদের ওপর আক্রমণ অথবা মারামারি ও গোলাগুলি করার আগে আপনার নেত্রীর কাছে কানে কানে জিজ্ঞাস করেন, তিনি কি আত্মসমর্পণ করবেন না? যদি করে কখন? তারিখটা খুব কাছাকাছি। ১৩ বছর যেহেতু আমরা অপেক্ষা করছি, কয়েকটা দিন বা মাস এটা তো অনেক দিন না?’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমাদের ওপর আঘাতের পর আঘাত করা, পুলিশ দিয়ে দমন করাও সম্ভব হবে না। এই সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বক্তব্যের রেশ ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সালাম সাহেব বলেছেন, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এটা পুরো কথা নয়; পুরো কথা হচ্ছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, যে পার্লামেন্ট আছে তা বলবৎ রেখেও আমরা নির্বাচনে যাব না।

‘তাহলে কী করতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গড়তে হবে। স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার হবে। আমাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।’

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে অন্যান্য জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না বলে অঙ্গীকার করেছে, সবাই যদি বাড়িতে ঘুমিয়েও থাকি তারপরও শেখ হাসিনা সরকারে থাকতে পারবে না। কারণ তার পক্ষে আরেকটি নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের মতো জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল অবরোধ না-ই করলাম, কিছুই দরকার নেই। এই সরকারের অধীনে শুধুমাত্র গণতন্ত্রমনা মানুষ অংশগ্রহণ না করলে হেলিকপ্টারে করে দেশ ত্যাগে বাধ্য হবে শেখ হাসিনা। তাই, সবাইকে ভোটাধিকারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সভায় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, হুমায়ুন কবির খানসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর