চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী লেয়াকত আলী তালুকদারের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার পর শুক্রবার রাতেই সরল ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারে হামলার ঘটনায় প্রার্থীর ছেলে চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আমরা রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি।’
মামলার আসামিরা হলেন মো. জাহেদ, আব্দুল মজিদ, তাফসির উদ্দিন বাহার এবং সরোয়ার। এর মধ্যে জাহেদ ও মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে সরল ইউনিয়নের মিনজীরতলা এলাকায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী লেয়াকত আলী তালুকদারের নির্বাচনি প্রচারে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় লেয়াকতসহ অন্তত ৫ জন আহত হন।
লেয়াকত ছাড়াও আহতরা হলেন আহমদুল্লাহ, মো. আমান উল্লাহ, মো. হাসান, আব্দুর রহিম এবং আব্দুস শুক্কুর। তাদের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রশিদ আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন ‘হামলার শিকার’ লেয়াকতের ছেলে আশির ইনতিশার মিশকাত।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে বাবার নির্বাচনি প্রচার চলাকালে হাকিমিয়া মাদ্রাসার সামনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর একটি মোটর শোভাযাত্রা আসতে দেখা যায়। তখন আমরা এক পাশ দিয়ে তাদের যাওয়ার সুযোগ করে দিই। কিন্তু ওরা চলে গিয়ে পেছন থেকে এসে আমার বাবাকে মারধর করেছে।
‘এসময় বাবাকে সেফ করতে যাওয়ায় আমাদেরও মারধর করে তারা। এতে আমাদের ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।’
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়াকত আলীর মিছিলের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী রশিদ আহমদ চৌধুরী।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমার একটি মিটিং ছিল। মিটিংয়ে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা রাস্তার একপাশ দিয়ে তাদের ক্রস করছি। তখন কিচ্ছু হয়নি। পুরে মিটিং থেকে ফিরে শুনি যে এই ঘটনা। এসব তো কিচ্ছু হয়নি আসলে। তাই এগুলো তো আমি জানি না।’