বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের শ্রমমান আরও উন্নত করার পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্রের

  •    
  • ৩ জুন, ২০২২ ১৭:৩৪

শ্রমিকদের অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রগতি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম খাতে শ্রমিকের অভিযোগ শোনা ও অভিযোগ তদন্ত, শ্রম পরিদর্শন ডিজিটালাইজ করা এবং শ্রম আদালতকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন আর্থিক সংস্থার (ডিএফসি) বিশেষ তহবিল সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে শ্রমমান উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক পরামর্শক সভা শেষে প্রকাশিত যৌথ ঘোষণায় এ কথা জানানো হয় বলে শুক্রবার পাঠানো বিবৃতিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্র সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া চার সেশনের এ বৈঠক শেষ হয় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে এই সভায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ফার্নান্দেজ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মুহিউদ্দিন, শামসুন্নাহার, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো যৌথ বিবৃতির ঘোষণায় বলা হয়, দুই দেশই ব্যবসায়িক/বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে রাজি হয়েছে। উভয় পক্ষই বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বচ্ছ বাণিজ্যিক নীতি বাস্তবায়ন এবং মেধাসম্পদের অধিকারের ধারাবাহিক প্রয়োগের বিষয়ে আরও সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রগতি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম খাতে শ্রমিকের অভিযোগ শোনা ও অভিযোগ তদন্ত, শ্রম পরিদর্শন ডিজিটালাইজ করা এবং শ্রম আদালতকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার মানদণ্ড মেনে চলার জন্য আরও পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ বিভিন্ন অবকাঠামো সুযোগের জন্য ডিএফসি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন অর্থ পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে, আইএলও রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করবে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে ব্যবসায়ী ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।

দুই পক্ষ তাদের আলোচনায় বিষয়টির ওপর জোর দিলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করার প্রসঙ্গটি তোলেন।

এ বিভাগের আরো খবর