বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ দিনে পাগলপ্রায় নিখোঁজ সেই ৪ কন্যার বাবা

  •    
  • ৩১ মে, ২০২২ ২০:৩৩

মা মাসুদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আমার বড় মেয়েকে মাদ্রাসায় কেন নিয়মিত যায় না এ নিয়ে একটু রাগারাগি করছিল। এই রাগে আমার বড় মেয়েটা আমার বাকি তিনটা মেয়েকে নিয়ে কোথায় চলে গেল!’

নিখোঁজের ছয় দিন পরও খোঁজ মেলেনি সহোদর চার বোনের। অভিমান করে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছে তারা। সন্তানদের খোঁজ পেতে ব্যর্থ হয়ে এখন পাগলপ্রায় তাদের বাবা। থেমে থেমে অঝোর কান্না আর আর্তনাদে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

নিখোঁজ চার বোন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা গ্রামের মজিবুল হকের মেয়ে। তারা চারজনই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বড় মেয়ে ১৮ বছরের তাসনিম জাহান, ১৭ বছরের মারজাহান ও ১২ বছরের তাজিন সুলতানা উপজেলা সদরের আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। সবার ছোট ৬ বছরের মাইশা নারুয়া তালিমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসায় শিশু শ্রেণিতে পড়ে।

গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে নানার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হয় তারা। পরদিন শুক্রবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাদের বাবা মজিবুল হক।

থানার ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালেম গ্রামের মজিবুল হকের কোনো পুত্রসন্তান নেই। গত বুধবার একই ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায় তার চার কন্যা। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে চার বোন একসঙ্গে নানার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি তারা।

মেয়েরা বাড়িতে না ফেরায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিখোঁজদের বাবা মজিবুল হক কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমি সব আত্মীয়, এমনকি আত্মীয়দের আত্মীয়র বাড়িতেও মেয়েদের খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু তাদের কোনো হদিস পাইনি। আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। আমার সাথে কারও বিরোধও নেই যে এত বড় ক্ষতি করতে পারে। আমার মেয়ে, আমার ছয় বছরের বাচ্চা!’

মা মাসুদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আমার বড় মেয়েকে মাদ্রাসায় কেন নিয়মিত যায় না এ নিয়ে একটু রাগারাগি করছিল। এই রাগে আমার বড় মেয়েটা আমার বাকি তিনটা মেয়েকে নিয়ে কোথায় চলে গেল! আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমার বুক খালি হয়ে গেছে।’

একসঙ্গে চার বোনের নিখোঁজ হওয়াকে রহস্যজনক ও মর্মান্তিক আখ্যা দিয়ে মৌকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ওদের খুঁজে বের করতে তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।’

নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেছি। তাদের খুঁজে বের করতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর