বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঋণ শোধে ব্যর্থ হলেই কিডনি বিক্রি, গ্রেপ্তার ২

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ মে, ২০২২ ১৮:৫৮

দালালরা প্রতিটি কিডনি উচ্চ দামে বিক্রি করলেও দাতাকে এক থেকে দুই লাখ টাকা দিয়ে বিদায় দেন। পরে চিকিৎসার অভাবে কিডনিদাতা জটিলতায় ভোগেন। দরিদ্ররা মোটা অঙ্কের টাকার আশায় কিডনি দিতে রাজি হলেও পুরোটা পান না। পরে টাকা চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দেন দালালরা।

জয়পুরহাটে কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন, কালাই উপজেলার টাকাহুত গ্রামের আব্দুল গোফফার সরকার ও জয়পুর-বহুতি গ্রামের নূর আফতাব। তাদের বয়স যথাক্রমে ৪৫ ও ৪২ বছর।

সংবাদ সম্মেলনে কিডনি দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রম তুলে ধরেন এসপি। জানান, কিডনি দালালরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে দরিদ্রদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি সংগ্রহ করেন। চক্রটি প্রথমে কালাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গরিব মানুষকে সুদে টাকা ধার দেয়। একপর্যায় ঋণ শোধে ব্যর্থ হলেই তাদের কিডনি বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ করেন দালালরা।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দালালরা প্রতিটি কিডনি উচ্চ দামে বিক্রি করলেও দাতাকে এক থেকে দুই লাখ টাকা দিয়ে বিদায় দেন। পরে চিকিৎসার অভাবে কিডনিদাতা বিভিন্ন জটিলতায় ভোগেন। দরিদ্ররা মোটা অঙ্কের টাকার আশায় কিডনি দিতে রাজি হলেও পুরোটা পান না। পরে টাকা চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দেন দালালরা।

কীভাবে কাজ করে চক্রটি

এসপি জানান, চক্রটি তিনটি স্তরে কাজ করে। প্রথম স্তরে আছে একেবারে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু অর্থলোভী। যাদের কাজ এলাকার বিভিন্ন অসহায় ব্যক্তিদের টার্গেট করা ও মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে প্রলুব্ধ করা এবং তাদের ফাঁদে পা দেয় বা রাজি হয় এমন ভুক্তভোগীদের ঢাকায় এনে চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা।

দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের ঢাকায় থাকা, খাওয়া বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পাসপোর্ট, ভিসাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র প্রস্তুত করে এই চক্রের তৃতীয় স্তরের চক্রের কাছে হস্তান্তর করে।

তৃতীয় স্তরের সদস্যদের মধ্যে কিছু অসাধু ডাক্তার ও ক্লিনিক জড়িত আছে। এই চক্রের তৃতীয় স্তরের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের দেশে ও দেশের বাইরে বিশেষ করে ভারত ও দুবাইতে নিয়ে গিয়ে শরীর থেকে কিডনি অপসারণ করায়।

গ্রেপ্তার দুজনের নামে মামলা হয়েছে জানিয়েছে এসপি মাছুম জানান, কিডনি দালাল চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর