বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল: নকশা প্রণয়নে চুক্তি সই

  •    
  • ৩১ মে, ২০২২ ১৭:১২

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ ভেড়ার সুযোগ তৈরি হবে। বে-টার্মিনাল চ্যানেলে কোনো বাঁক থাকবে না এবং উপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১০-১২ মিটার ড্রাফট জাহাজেরও নোঙর করানো সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বাড়াতে ‘বে-টার্মিনাল’ প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নে কোরিয়ার দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চুক্তি শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বে-টার্মিনাল স্বপ্ন নয়; এটি এখন বাস্তবতা।’

ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প সংক্রান্ত চুক্তিটি সই হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে সই করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান এবং কোরিয়ার যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসাল্টিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট হোয়াং কিউ ইয়াং।

এই চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের বিস্তারিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে মাল্টিপারপাস টার্মিনালের বিস্তারিত প্রকৌশল নকশা, ড্রয়িং প্রণয়নে যৌথভাবে কাজ করবে কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসাল্টিং এবং ডি ওয়াই ইঞ্জিনিয়ারিং।

প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজেরও তদারকি করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। এজন্য ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আর সম্পূর্ণ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১০ কোটি ডলার।

চুক্তি সই শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আজ বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। আমরা এখন বলতে পারি বে-টার্মিনাল স্বপ্ন নয়; এটি এখন বাস্তবতা।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল শিগগির চালু হতে যাচ্ছে। বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে রেললাইন যুক্ত হবে; সে পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি।’

যা থাকছে বে টার্মিনালে

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ ভেড়ার সুযোগ তৈরি হবে। বে-টার্মিনাল চ্যানেলে কোনো বাঁক থাকবে না এবং উপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১০-১২ মিটার ড্রাফট জাহাজেরও নোঙর করানো সম্ভব হবে।

বে-টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে থাকবে ১ হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ একটি কন্টেইনার টার্মিনাল, ৮৩০ মিটার দীর্ঘ একটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং একটি দেড় হাজার মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। তিনটি টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার।

মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি। আর বে-টার্মিনালে মোট জেটি থাকবে ১৩টি। রাখা হচ্ছে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা। প্রকল্পের পূর্ব দিকে থাকছে পোর্ট অ্যাকসেস রোড ও রেলপথ।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের এবং ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়তে পারে।

চট্টগ্রাম বন্দর জোয়ারের ওপর নির্ভর হওয়ায় দিনে দুবার নেভিগেশন হয়। বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে উত্তর হালি শহরে বে-টার্মিনালের অবস্থান। বে-টার্মিনাল থেকে বর্হিনোঙরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। চ্যানেলের প্রশস্ততা ৮০০-১২০০ মিটার।

এই বে-টার্মিনালকে বৈরী আবহাওয়া এবং সাগরের বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করা হবে। যা ওই এলাকার ডুবোচরের ওপর নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর