কিছু সংবাদমাধ্যম বিরোধী দলের ভূমিকায় নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওই সমালোচনা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তাহলে সমালোচনা করার অধিকার জনগণেরও রয়েছে। কিছু কিছু পত্রিকা এই রকমই কাজ করছে। সবমিলিয়ে দেশটাকে ঝুঁকিপূর্ণ ও সংকটময় দেখানোর চেষ্টা চলছে।’
চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন সেন্টারে সোমবার দুপুরে মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে পরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়নে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা মাঠে নেমেছে উল্লেখ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। সুশীল সমাজের একটি অংশ এখনও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর।
‘জাতীয় সরকারের তত্ত্ব মাঠে হাজিরের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ব্যক্তি সরব হয়েছে। যারা এক এগারোর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত এবং অনির্বাচিত সরকারের সুবিধাভোগী। তাদের কারণেই গণতান্ত্রিক সরকার সংকটে পড়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ডালপালা মেলে। এরা এখনও মাঠে সক্রিয়।’
শেখ ফজলে শামস পরশ আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে৷ তিনিই ন্যায়ের মূর্তমান প্রতীক। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। ২০২৩ সালে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পরিশ্রম করতে হবে।’
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ ফজলে শামস বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু নতুন নেতা নির্বাচন নয়, এর মাধ্যমে যুবলীগের রাজনীতিতে একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। চট্টগ্রামের মাটি রাজনৈতিকভাবে উর্বর। নতুন নেতৃত্বের হাতে অনেক চ্যালেঞ্জ। প্রথমে আমাদের সংগঠন গোছাতে হবে। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’