বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাল টাকা রাখার দায়ে যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

  •    
  • ৩০ মে, ২০২২ ১৬:০০

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জাল টাকা রাখার দায়ে হুমায়ুনকে ও ইয়াবা রাখার দায়ে আনোয়ারকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৫ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট রাখার দায়ে হুমায়ুন কবির নামে এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

একই সময় ৫২ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আনোয়ার হোসেন প্রকাশ ওরফে টাইগার সুমনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পৃথক এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত হুমায়ুনের বাড়ি কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চর কাদিরা গ্রামে। আনোয়ারের বাড়ি পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকায়।

নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জাল টাকা রাখার দায়ে হুমায়ুনকে ও ইয়াবা রাখার দায়ে আনোয়ারকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’

আদালতে ও এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৪ জুলাই রাতে হুমায়ুন চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজু মিয়ার হাটে একটি ফার্মেসিতে জাল টাকা নিয়ে বসে ছিলেন। বিষয়টি থানার ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে জানতে পেরে উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করেন।

এ সময় হুমায়ুনের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ১ হাজার টাকার ৩টি ও ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করা হয়। এর আগে ফার্মেসিতে ওষুধ কেনার জন্য ২০০০ টাকা দেন হুমায়ুন। দোকানিকে দেয়া এক হাজার টাকার নোট দুটিও জাল ছিল। নোটগুলোও পুলিশ জব্দ করে।

ঘটনাস্থলেই হুমায়ুন স্বীকার করেছেন তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জাল টাকা দিয়ে পণ্য কিনে প্রতারণা করে আসছেন। এ ঘটনায় পরদিন আমির হোসেন হুমায়ুনের নামে থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর হুমায়ুনের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি ও ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেয়।

এদিকে ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর রাতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানের সময় সদর উপজেলার টুমচর বাজার থেকে আনোয়ারকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে পলিথিন মোড়ানো ৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

ওইদিনই ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ পাহলান সদর মডেল থানায় আনোয়ারের নামে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই এহতেশামুল হক ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

দীর্ঘ শুনানি ও ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আনোয়ারকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর