ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কোটালীপাড়াগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাতদল যাত্রীদের মারধর করে মোবাইল, স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ধূসর বটতলা এলাকায় রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্টার লাইন পরিবহনে যাত্রীর ছদ্মবেশে ওঠা সাতজনের একটি ডাকাতদল মহাসড়কের ধূসর বটতলা এলাকায় বাসটিকে থামিয়ে ক্ষুর, চাকুসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে বাসের চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।’
ডাকাতের কবলে পড়া বাসের চালক মোহাম্মাদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাঙ্গায় যাত্রী নামিয়ে বাস চালাতেই পেছন থেকে ডাকাতরা এসে আমার গলা চেপে ধরে উঁচু করে ফেলে। আমাকে ইঞ্জিন কভারে টেনে তুলে তারা বাস নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে বাসের পেছনের সিটে বসিয়ে রাখে।’
বাসের যাত্রী বিকেএসপির কর্মচারী আব্দুল্লাহ বিন ওবায়েদ বলেন, ‘আমি নবীনগর কাউন্টার থেকে বিকেল ৫টায় বাসে উঠি। বাস ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে হঠাৎ করে ৬-৭ জন লোক যাত্রীবেশে বাসে উঠে বাসচালককে নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর তিনজন আমাদের কাছে থাকা জিনিসপত্র ও টাকা, স্বর্ণালংকার কেড়ে নিয়ে ধূসর এলাকায় এসে তারা বাস থেকে নেমে যায়।’
আরেক বাসযাত্রী সুবর্ণ দেবনাথ বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ডাকাতরা এসে বলে, কাছে যা আছে দিয়ে দে। আমার কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য অনেক জবরদস্তি করে। পরে আমি খুলে দিতে বাধ্য হই। আমার কাছে থাকা নগদ ৭ হাজার ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা।’
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা আবু নাঈম বলেন, ‘রাস্তায় হট্টগোল শুনে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি। এ সময় বাসে থাকা সব যাত্রীর মোবাইল নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করি।’
বাসটিতে মোট ২১ জন টিকিটধারী যাত্রী ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যে ৬ জন যাত্রী ফরিদপুরে নেমে যান। পরে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসার পর বাসটি ডাকাতদের কবলে পড়ে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’