রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখস হলের টিভি রুমে রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার সাংবাদিকের নাম মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। রাতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম গিয়াসউদ্দিন কাজল। তিনি মাদার বখস হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। দুজনই মাদার বখস হলের শিক্ষার্থী।সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার রাতে টিভি রুমে অনেকেই আইপিএল খেলা দেখছিল। সেখানে কাজল ধূমপান করছিল। আমি তাকে টিভি রুমে ধূমপান করতে নিষেধ করলে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে কাজলসহ আরও কয়েকজন মিলে আমাকে মারধর করে। পরে বন্ধু ও সাংবাদিক সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে। রাতেই আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়।’এই ঘটনার পর গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। জড়িতদের শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন উপ-উপাচার্য ও জনসংযোগ প্রশাসকসহ কয়েকজন কর্মকর্তা রাত ৩টার দিকে সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উপ-উপাচার্য সুলতানুল ইসলাম এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা হলে ফেরেন।এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত কাজলের নম্বরে ফোন করা হলেও ধরেননি। পরিচয় জানিয়ে তাকে এসএমএস করা হলেও সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি। ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’