বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেড়াতে এসে তরুণীকে ‘হত্যা’, স্বামী পলাতক

  •    
  • ৩০ মে, ২০২২ ১০:২৫

নিহত রত্নার মামি রাশেদা বেগম বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ ফোন আসে আরিফের। সে জানায় ঘরের ভেতরে যাইয়া দেখেন আপনার ভাগনির লাশ পড়ে আছে। পরে দরজা খুলে দেখি ওর কথাই সত্যি হলো। আমার ভাগনি পৃথিবীতে নাই।’

রাজধানীর বংশালের মাহুতটুলী এলাকার একটি বাসা থেকে রত্না আক্তার নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই দিন আগে রত্না তার স্বামী আরিফ হোসেনকে নিয়ে জামালপুর থেকে বংশালে মামা বেলায়েত হোসেনের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন।

রোববার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘরের ভেতরে চিৎ অবস্থায় গৃহবধূ রত্না আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী আরিফ হোসেন পালিয়ে যান।’

তিনি আরও বলেন, দুই দিন আগে জামালপুর থেকে রত্না তার স্বামী আরিফকে নিয়ে মামা বেলায়েত হোসেনের বাসায় বেড়াতে আসেন। রত্নার বয়স ১৮ আর তার স্বামী আরিফের বয়স ২০।

‘তারা দুজনে ওই বাড়ির নিচতলার একটি ছোট্ট কক্ষে ছিলেন, বিকেলের দিকে আরিফ মামিকে ফোন করে জানায়, ঘরের ভেতরে আপনার ভাগনির লাশ পড়ে আছে। পরে ঘরের বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি খুলে ভাগনির মরদেহ দেখতে পাই।’

পুলিশ বলেন, ‘আমরা আরিফকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

নিহত রত্নার মামি রাশেদা বেগম বলেন, ‘আমরা বংশাল মাহুতটুলী ৮/২/ক শাজাহান মিয়ার বাড়ির একটি কক্ষ নিয়ে ভাড়া থাকি। আমি বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করি। আমার স্বামী বেলায়েত হোসেন ভ্যানচালক। গত শুক্রবার হঠাৎ রত্না তার স্বামীকে নিয়ে আমাদের বাসায় ওঠায় নতুন জামাই হিসেবে আমরা আমাদের রুমে তাদের থাকতে দিই।

‘আমরা দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে দুই দিন ধরে থাকি। আমার স্বামী বাইরে ছিল। আমি কাজে ছিলাম। বিকেলে হঠাৎ ফোন আসে আরিফের, সে জানায় ঘরের ভেতরে যাইয়া দেখেন আপনার ভাগনির লাশ পড়ে আছে। পরে দরজা খুলে দেখি ওর কথাই সত্যি হলো। আমার ভাগনি পৃথিবীতে নাই।’

ওই বাড়ির কেয়ারটেকার বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমি এই মালিকের অধীনে প্রায় ১৫ বছর ধরে কাজ করে আসতেছি, এই বাসায় অনেক ভাড়াটিয়া থাকেন। আজ পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা এই বাসায় ঘটেনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমাদের ভাড়াটিয়া রাশেদা বেগম আমাদের খবর দেন, আমার ভাগনিকে তার স্বামী মেরে ফেলেছে। তাড়াতাড়ি আসেন।

সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখি, ঘরের মেঝেতে লাশ পড়ে আছে। পরে বংশাল থানাকে খবর দিলে ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর