ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ময়মনসিংহের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।
এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে রোববার বিকেল তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের পর বহিরাগত এক যুবককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ মানববন্ধনের আয়োজন করেছে রোববার দুপুরে।
শিক্ষার্থীরা জানান, মানববন্ধনে লাইন সোজা করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুর অনুসারী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ফাহিমের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের অনুসারী পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের মো. সাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে এক পর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অভি সাব্বির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফাহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি বাবুর গ্রুপে ও সাদ সাধারণ সম্পাদক রাকিবের গ্রুপের রাজনীতি করে। ফাহিম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বহিরাগত ক্যাডার নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের ১০ শিক্ষার্থী আহত হন।
‘পরে হলের শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে বহিরাগতদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। তবে রিয়ন নামের এক বহিরাগতকে হলে নিয়ে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে তুলে দেয়। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদের মাথা ফেটে গেছে। বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অন্যদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার ও ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। নিউজবাংলার পরিচয় দিয়ে এসএমএম পাঠানো হলেও তিনি রিপ্লাই দেননি।
তবে সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু নিউজবাংলাকে জানান, মানববন্ধনে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কাটাকাটির এক পর্যায়ে অনাকাঙ্খিতভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান জানান, বহিরাগত একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিষয়ে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীর অবস্থা আশংকামুক্ত।