সদরঘাটে লঞ্চ ও পন্টুনের মধ্যে চাপ খেয়ে পা হারানো খিলগাঁওয়ের মো. কবিরকে চিকিৎসা ও মানসিক ক্ষতি বাবদ এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
কবিরের পক্ষে রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ এ নোটিশ পাঠান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও পূবালী-১২ লঞ্চের মালিক আলী আজগর খালাসীসহ ৮ জনকে এ নোটিশ দেয়া হয়।
গত ১৮ মে একটি সংবাদমাধ্যমে ‘এই সংসার চলবে কী করে: লঞ্চের ধাক্কায় পা হারানো কবিরের স্ত্রী’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ সংযুক্ত করে নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, রাজধানীর নবাবপুরে বৈদ্যুতিক পাখার দোকানে দিনমজুরের কাজ করতেন ২৮ বছর বয়সী কবির হোসেন। ঈদুল ফিতরের এক দিন আগে ১ মে সকালে স্ত্রী, মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে সদরঘাটে আসেন কবির। সে সময় ঘাটে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চ ছিল। সেটি কানায় কানায় ভরা থাকায় স্বজনদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি।
অপেক্ষার পর পূবালী-১২ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তে শুরু করে। বেশি গতি থাকায় এটি পন্টুনে এসে জোরে ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ ছিল পন্টুনে।
ওই সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাম পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। কেটে ফেলতে হয় বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। আর শাহজালাল নামে আরেক ব্যক্তির ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে ভেঙে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে জবাব জমা দিতে বলা হয়েছে। ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ লাখ টাকা প্রদান এবং তার মানসিক ও শরীরিক ক্ষতির জন্য অবশিষ্ট ৯৫ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
টাকা না দেয়া হলে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।