নদীগুলোর স্থায়িত্বের জন্য আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ভাগাভাগি এবং অববাহিকা প্রশস্ত নদী ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতের আসামের গুয়াহাটিতে শনিবার নদীবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনক্লেভে উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো বাংলাদেশের জীবন রেখা এবং তা বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সংগীত, জীবনধারা ও জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছে। নদীগুলোর স্থায়িত্বের জন্য আন্তঃসীমান্ত নদীর জল ভাগাভাগি এবং অববাহিকা প্রশস্ত নদী ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘টেকসই এবং অর্থপূর্ণ সহযোগিতা হলো সুস্থ নদী এবং দক্ষ নদীমাতৃক সহযোগিতার মূল চাবিকাঠি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘নৌপথে যোগাযোগের সুবিধার্থে সুস্থ নদী ব্যবস্থাপনায় সবার নজর রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও বাণিজ্যসংক্রান্ত প্রোটোকল যা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে হওয়া পুরোনো চুক্তির একটি, দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে।’
ভারত থেকে পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরেকটি মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. মোমেন বাংলাদেশ ও আসামের জনগণের মধ্যে বহু পুরোনো বন্ধনকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়াতে বিমান ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসামে যাওয়া বাংলাদেশের জনগণের ভিসা ও কনস্যুলার সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সহজ করার জন্য আসামে একটি ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) প্রতিষ্ঠার অনুরোধ করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন।