বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পথ জানে না: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

  •    
  • ২৮ মে, ২০২২ ২০:২০

‘বাংলাদেশ ও ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য এক, অভিন্ন। জাতির পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ জাতীর দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হওয়ার পর তাদের লেজুরবৃত্তি করতে ছাত্রসংগঠনের জন্ম হলেও একমাত্র ছাত্রলীগের ইতিহাসই ব্যতিক্রম। এর ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস।’

রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার তিনটি পথ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেই পথ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচনের ব্যালটের মাধ্যম, অপর দুটি গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান।

‘আওয়ামী লীগ সব পথই ব্যবহার করতে জানে। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথই জানে না।’

শ্রীপুরে গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টে শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা ৮০ ও ৯০ দশকের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুর্ণমিলনি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়, মানুষ হত্যা করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। অথচ এগুলো করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।

‘কোনো প্রভু এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে এমন ধারণাও অবান্তর। তাই ক্ষমতায় যেতে হলে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে, নির্বাচনে যেতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য এক, অভিন্ন। জাতির পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ জাতীর দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হওয়ার পর তাদের লেজুরবৃত্তি করতে ছাত্রসংগঠনের জন্ম হলেও একমাত্র ছাত্রলীগের ইতিহাসই ব্যতিক্রম। এর ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার ২৯ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন জিয়া, এরশাদ ও খালেদা। ওই সময় তারা দেশকে সারা বিশ্বে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছেন।

‘অথচ বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর আর তার কন্যা শেখ হাসিনার সাড়ে ১৮ বছর, সব মিলিয়ে ২১ বছরে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা পেয়েছি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তাদের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বত্রই ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে।’

ওই সময় তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠনের আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে তার নিজ তহবিল থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান দেন।

গাজীপুর জেলার ৮০ ও ৯০ এর দশকের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলে এ পুণর্মিলনির আয়োজন করেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল হাদি শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়া মীলীগের মহিলা সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, গাজীপুরের জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারুউজ্জামান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন।

এ বিভাগের আরো খবর