উদ্বোধনের আগেই সেতু দিয়ে পার হয়েছে বরযাত্রীর গাড়ি। সেই গাড়িবহরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।
২ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুইটি প্রাইভেট কার ও একটি বাস এসে সেতুর ব্যারিকেডের সামনে থামে। প্রথম কারটি ছিল ফুল দিয়ে সাজানো। গাড়ি থেকে দুজন নেমে টোলপ্লাজার এক পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর ব্যারিকেড সরিয়ে তাদের যেতে দেয়া হয়।
এই ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামে কঁচা নদীর ওপর নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে বৃহস্পতিবার বিকেলে।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে সেতু উদ্বোধনের আগেই গাড়ি যাওয়া নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কচা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। বরিশাল-খুলনা পথে যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন করতে ৯৯৮ মিটারের সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৮৮৯ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা দিয়েছে চীন সরকার ও বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে সেতুর প্রায় ৯৬ ভাগ কাজ শেষ করেছে। সওজের কাছে আগামী ২০ জুনের মধ্যে সেতুটি হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। এরপর এটি উদ্বোধন করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
উদ্বোধনের আগে কেন গাড়ি যেতে দেয়া হলো সে বিষয়ে পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমি সেতু এলাকায় গিয়ে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম।
‘পুলিশ সদস্যরা জানান, তারা গাড়ি থামালেও চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীরা ছেড়ে দিতে বলেন। তাই শুধু সতর্ক করে তারা গাড়িগুলো ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।’
পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি জানান, স্থানীয়দের কাছে শুনেছেন বরের বড় ভাই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে গাড়িটি সেতু পার হয়েছে।
সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহামুদ বলেন, ‘সেতু এখনও সওজের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তবে বিষয়টি শুনে আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলে দিয়েছি, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো পরিবহন যেন সেতুতে না ওঠে।’