বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবদল-ছাত্রদল দুই নেতার ওপর ‘ছাত্রলীগের হামলা’

  •    
  • ২৬ মে, ২০২২ ২০:২৩

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাকিবুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক শুভর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। দেবেন্দ্র কলেজের সামনে পৌঁছাতেই ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা বাঁশ ও লোহার রড় দিয়ে মারতে থাকে। যখন মাটিতে পড়ে যাই, তখন তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।’

মানিকগঞ্জে জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের দুই নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

খালেদা জিয়াকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে শহরের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মারামারির বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আহত জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাকিবুল ইসলাম বাবুর মাথায় ১১টি ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল খালেক শুভর মাথায় পাঁচটি সেলাই লেগেছে বলে জানা গেছে।

রাকিবুল ইসলাম বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক শুভর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। দেবেন্দ্র কলেজের সামনে পৌঁছাতেই ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়।

‘তারা বাঁশ ও লোহার রড় দিয়ে মারতে থাকে। যখন মাটিতে পড়ে যাই, তখন তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।’

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব তুহিনুর তুহিন বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেছি। পরে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে এবং তাদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে।’

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্টাফ মোহাম্মদ মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাথা ফাটা অবস্থায় দুজনকে জরুরি বিভাগে আসা হয়েছিল। এর মধ্যে বাবুর মাথায় ১১টি এবং খালেকের মাথায় পাঁচটি সেলাই দেয়া হয়েছে। পরে রোগীর সঙ্গে আসা লোকজন তাদের নিয়ে গেছে। কোথায় নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারব না।’

সদর থানার ওসি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মারামারির বিষয়টি শুনেছি। তবে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর