কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে টেলিকম অপারেটর বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাসসহ চার জনের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ব্যান্ড শিল্পী জেমস ও ব্যান্ড দল মাইলস।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে দুই বাদী এক সঙ্গে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
শুনানির সময় মাইলস ব্যান্ডের শিল্পী মানাম আহমেদ আদালতকে বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি থেকে মামলাটি করা হয়। এখন আর মামলা পরিচালনা করতে চাচ্ছি না।’
শুনানির সময় মামলার চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় এ শুনানি হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মতিউর রহমান মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাদীরা স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।’
এ তথ্য নিউজ বাংলাকে নিশ্চিত করেন এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাপস পালও।
মামলার অপর আসামিরা ছিলেন, বাংলালিংকের প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ দুটি মামলা করেন।
তবে মামলার আসামি বাংলালিংকের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে যান। তিনি আর দেশে ফিরবেন না এমনটা জানতে পারে বাদীপক্ষ। পরে মামলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়।
মামলাটি দুটির অভিযোগে বলা হয়, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুটি অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে বাংলা লিংক গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জেমসও তার গাওয়া ‘দুখিনি দুঃখ করোনা’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’, ও যার যার ধর্ম গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।