বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিয়ার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা জাতির সঙ্গে তামাশা: জয়

  •    
  • ২৬ মে, ২০২২ ১৫:২৯

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘তিনি (আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম) তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়া কীভাবে অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তা জানতে পারবেন এই ছোট অ্যানিমেটেড ভিডিও থেকে।’

সাবেক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অস্ত্রের মুখে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন মন্তব্য করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-বিষয়ক একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোট আয়োজন করে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার বিষয়টিকে জাতির সঙ্গে ‘এক বড় রকমের তামাশা’ বলেও উল্লেখ করেন এই প্রযুক্তিবিদ।

বিএনপি শাসনামলে নিষিদ্ধ হওয়া রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে উদ্ধৃত করে অ্যানিমেটেড ভিডিওর সঙ্গে বুধবার এই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন জয়।

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, “‘আমি কোনোমতে সাইন করে জীবন বাঁচালাম’-এই কথাটি রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের। তার লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে অনেক অজানা ইতিহাস জানা যায়, যা দীর্ঘদিন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল বিএনপি।''

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে না পারার জন্য এই রাষ্ট্রপতির দুঃখ ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র।

তিনি বলেন, ‘তিনি (আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম) তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়া কীভাবে অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল তা জানতে পারবেন এই ছোট অ্যানিমেটেড ভিডিও থেকে।

‘জিয়া রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেবকে কথাও দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনে জিয়া সামরিক বাহিনীর প্রধান ও সামরিক আইন প্রশাসকের পদে থেকে হ্যাঁ-না ভোট আয়োজন করে নিজেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন, যা জাতির সাথে সত্যিই এক বড় রকমের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

সজীব ওয়াজেদ জয় ওই বই থেকে উদ্ধৃত করে আরও লেখেন, ‘জিয়া বঙ্গভবনে আসতেন মধ্যরাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্র উঁচিয়ে রাখত। আমি প্রায়ই মনে করতাম এটাই বোধহয় আমার শেষ রাত। সংবিধানের ৪টি মূল স্তম্ভ বাতিল সংক্রান্ত একটি সামরিক ফরমান আমার কাছে স্বাক্ষরের জন্য আসে। আমি ওই ফরমানে স্বাক্ষর না করে, তা রেখে দিই।

‘পরদিন রাত ১১টায় বুটের শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। সেনাপ্রধান জিয়া অস্ত্রশস্ত্রসহ বঙ্গভবনে আমার শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। জিয়াউর রহমান আমার বিছানায় তার বুটসহ পা তুলে দিয়ে বলেন, সাইন ইট। তার এক হাতে ছিল স্টিক, অন্য হাতে রিভলভার।

“আমি কাগজটা পড়লাম। আমার পদত্যাগপত্র। যাতে লেখা- ‘অসুস্থতার কারণে আমি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’ আমি জিয়াউর রহমানের দিকে তাকালাম। ততক্ষণে আট-দশজন অস্ত্রধারী আমার বিছানার চারপাশে অস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জিয়া আবার আমার বিছানায় পা তুলে আমার বুকের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে বললেন, ‘সাইন ইট’। আমি কোনোমতে সই করে বাঁচলাম।’

১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বইটি। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার ৭ দিনের মধ্যে বইটি বাজেয়াপ্ত এবং নিষিদ্ধ হয় বলেও নিজের স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা।

এ বিভাগের আরো খবর