ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনের প্রাণহানি হলো।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বৃহস্পতিবার জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ৪৮ বছরের আসাদ শেখ উপজেলার খারদিয়া গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে। একই ঘটনায় গত ৫ মে প্রাণ হারান খারদিয়া ঠাকুরপাড়া এলাকার ২৭ বছর বয়সী সিরাজুল ইসলাম।
স্থানীয়দের বরাতে সহকারী পুলিশ সুপার জানান, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যদুনন্দী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থক রফিক মোল্লার সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধের জেরে প্রায়ই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে গত ৫ মে সকালের দিকে যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে রফিকের সমর্থকদের হামলায় প্রাণ হারান আলমগীরের সমর্থক খারদিয়া ঠাকুরপাড়া এলাকার ইশারত মোল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম। ওই সময় আহত হন আসাদ শেখসহ আরও কয়েকজন।
সিরাজুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা খারদিয়া এলাকার মিয়াপাড়া, ঠাকুরপাড়া, বড় খারদিয়াসহ বিভিন্ন বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় আলমগীরের সমর্থকরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে আসাদ শেখ বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
সহকারী পুলিশ সুপার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসাদ শেখের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হবে।’
এর আগে সিরাজুল মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক মোল্লাসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০-২০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
নিহতের ভাই মিরাজুল মোল্লা মামলাটি করেছিলেন জানিয়ে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আওলাদ বলেন, ‘আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’