বরগুনা ও পটুয়াখালীর পরিবহন মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে তিন রুটে চলছে না কোনো বাস। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বরগুনা-বরিশাল, কুয়াকাটা-পটুয়াখালী ও আমতলী-তালতলী রুটের যাত্রীরা।
এই তিন রুটে ১৮ মে সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। ছোট ছোট যানবাহনে ভেঙে যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। এতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
পটুয়াখালীর গলাচিপার আবদুর রহমান বলেন, ‘আমি বরগুনার আমতলীতে চাকরি করি। পটুয়াখালী থেকে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে হয়। বাস বন্ধ থাকায় খুবই বিড়ম্বনায় পড়েছি।
‘তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ভাড়ায় চালিত বাইকে যাতায়াত করছি। একই অবস্থা বরগুনা থেকে বরিশালগামী যাত্রীদেরও।’
বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সগীর মিয়া জানান, ২০১৯ সালে বরিশালে এবং ২০২১ সালে ঢাকায় বাস মালিক সমন্বয় পরিষদের সভা হয়। সভায় বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বাস মালিক সমিতির মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছিল।
সমঝোতা অনুযায়ী বরিশাল, কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, আমতলী, তালতলী রুটে সমান আনুপাতিক হারে দুই জেলার বাস মালিক সমিতি বাস পরিচালনা করবেন।
সগীরের অভিযোগ, ‘এতদিন ঠিকমতো চললেও ১৮ মে থেকে পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি এসব রুটে বাস চলাচলে বাধা দেয়। তারা বরগুনা বাস মালিক সমিতির সব বাস পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডে আটক করে।
‘এর জেরে বরগুনা বাস মালিক সমিতির লোকজন এবং শ্রমিকরা বুধবার সকাল থেকে পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সব বাস আমতলী হাসপাতাল সড়কের সামনে আটকে রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।’
বরগুনা বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু বলেন, ‘পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি এক সপ্তাহ ধরে আমাদের বাস আটকে রেখে হয়রানি করছে।’
তবে বিপরীত অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা।
তিনি বলেন, ‘বরগুনা বাস মালিক সমিতি রুটগুলোতে সমান অনুপাতের তুলনায় বেশি বাস নামিয়েছেন। তা ছাড়া আমরা তাদের বাস আটকাইনি। উল্টো তারা আমাদের সব বাস আটকে রেখেছেন।’
যাত্রীদের দুর্ভোগ মেটাতে পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বাস চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবর রহমান।