পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে; জুনের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে আলো জ্বালানো হতে পারে।
নিউজবাংলাকে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জুলফিকার রহমান।
তিনি জানান, সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নাম্বার পিলারে ৮০ কিলোওয়াটের এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। সেতু কর্তৃপক্ষ ও পল্লী বিদ্যুতের প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে সংযোগ স্থাপন করে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
তিনি আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে দেয়া চিঠিতে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জুন মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে। সেতুকে আলোকিত করতে ৩০ মের মধ্যে মূল সেতুর ল্যাম্প পোস্টে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়।
সেতু বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথে (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি ও মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন ও ল্যাম্পপোস্টে বাতি সংযোজনের কাজ শেষ করা হয়। এরপর শুরু হয় সেতুর মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ক্যাবল টানার কাজ। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৫ নভেম্বরে। গত মঙ্গলবার সেতুর ৪২ নাম্বার পিলারে ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে। মোট ৮টি ফিডারের মাধ্যমে সেতুর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সেতু বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘ক্যাবল সংযোজনের কাজ শেষ হতে অন্তত ৫ থেকে ৬ দিন সময় লাগতে পারে। জুনের প্রথম সপ্তাহের যে কোনো দিন পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক আলো জ্বালানো হবে। এছাড়াও জাতীয় উৎসব ও জাতীয় দিবসে সেতুর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অপটিক্যাল ফাইবারে আর্কিটেকচারাল লেজার লাইট জালানো হবে।
‘এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লেজার লাইট সংযোজনের পর আগামী ঈদুল আযহার সময় বিশেষ এই বাতি জ্বালানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে।’