দুই বছরের শিশু আলিফ। জন্মের পর থেকেই তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বাবা আসাদুল ইসলামের। সংসারের সচ্ছলতা আর সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে রেখেই তাই ঢাকায় পাড়ি জমান তিনি। কাজ শুরু করেছিলেন একটি তৈরি পোশাক কারখানায়।
প্রতি মাসেই বাড়িতে টাকা পাঠাতেন আসাদুল। আর প্রতিদিন কয়েকবার ফোন করে সন্তানের খোঁজ নিতেন। কিন্তু তার এই সুখের সংসারে হঠাৎ কালো মেঘ হানা দেয়।
আলিফের বয়স তখন এক বছর। প্রচণ্ড পেটব্যথায় একদিন চিৎকার করছিল সে। ব্যথার কারণ জানতে তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ছোট্ট আলিফের একটি কিডনি নষ্ট এবং আরেকটি নষ্ট হওয়ার পথে।
খবরটি শোনার পরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে আসাদুল আর মোমেনার। চিকিৎসকের কথামতো আলিফকে দ্রুত ঢাকার শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে বিক্রি করে দেন গ্রামের ভিটা-মাটি সব। চার লাখ টাকা খরচ করে আলিফের শরীরে দুটি অপারেশনও করানো হয়। কিন্তু অসুস্থতা এখনও পিছু ছাড়েনি আলিফের।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, আলিফকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে আরও অন্তত ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন। সন্তানের চিকিৎসার পেছনে ইতোমধ্যেই সর্বস্ব ব্যয় করা আসাদুল এবার আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে সুস্থ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সবার কাছে সহযোগিতা চাই। আপনাদের একটু সহযোগিতায় বেঁচে যাবে আমার সন্তান।’
একটু দূরে বসেই আসাদুলের অঝোর কান্না দেখছিল আলিফ। বাবার অসহায়ত্ব দেখে ঠোঁট কেঁপে ওঠে তারও। এখনও জীবন-মৃত্যুর অর্থ না বুঝলেও বাবাকে সে সুখী দেখতে চায়। অস্ফুট আর্তনাদে যেন সে বলতে চাইছে, ‘সবাই আমার বাবাকে সহযোগিতা করুন।’
সহযোগিতা করতে চাইলে আলিফের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মো. আসাদুল ইসলাম
০১৭৮৮-৭০৪৪৩৪