বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিকের নামে মামলা প্রত্যাহারসহ ৩ পুলিশ সদস্যের বিচার দাবি

  •    
  • ২৪ মে, ২০২২ ২০:২২

কামরুন্নাহার শোভা বলেন, ‘একজন এসপির আমল থেকে গাজীপুরে ২০১৮ সাল থেকে আমাদের নামে গরু চুরি, মুরগি চুরি, চাঁদাবাজি, লুটপাট, ছিনতাইয়ের মামলা দেয়া হচ্ছে একই ধরনের কথা লিখে। এই নিয়ে একই স্ক্রিপ্টে তিনটি মামলা হলো।এই অপরাধী চক্র কীভাবে পুলিশের সহায়তা নিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়।’

সাংবাদিক ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সদস্য কামরুন্নাহার শোভা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যে মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে বিএইচআরএফ।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয় নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সদস্যসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা মিথ্যে মামলায় সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি ও একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত, হ্যান্ডকাফ পরানো ও গালাগালি করায় কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা, ওসি তদন্ত মিজান, এসআই তানভীরসহ সেই ভূমিদস্যু অপরাধীচক্রের বিচার দাবি করেন। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কামরুন্নাহার শোভা বলেন, ‘একজন এসপির আমল থেকে গাজীপুরে ২০১৮ সাল থেকে আমাদের নামে গরু চুরি, মুরগি চুরি, চাঁদাবাজি, লুটপাট, ছিনতাইয়ের মামলা দেয়া হচ্ছে একই ধরনের কথা লিখে। এই নিয়ে একই স্ক্রিপ্টে তিনটি মামলা হলো।

‘এই অপরাধী চক্র কীভাবে পুলিশের সহায়তা নিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়। পুলিশ বলে উপরমহলের চাপ, বিচারপতি, জেলা জজের কথা। তারা কারা? এতে কি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না?

মানববন্ধনে বিএইচআরএফের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, ‘আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম একজন সাংবাদিক যখন তার অফিসে কর্মরত, তখন ঢাকা শহরের বাইরে, একটি জেলার থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলো। তিনি মুরগি, গরু, টিন চুরির মামলায় আসামি হলেন।

শুধু মামলা দেয়া হলো তাই নয়, তার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করা হলো। ৮০ বছর বয়সী একজন প্রবীণ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে নাজেহাল করা হলো।

‘আমরা সাংবাদিকরা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সুখ-দুঃখ তুলে ধরি। কিন্তু আমরা যখন জটিলতায় পড়ি, নির্যাতেনের শিকার হই, আমাদের কথা বলার কেউ থাকে না।’

রাশেদ রাব্বি বলেন, ‘যে খামার থেকে মুরগি চুরির কথা বলা হয়েছে, সেখানে কোনো খামার নেই, যেসব বর্ণনা দেয়া হয়েছে তার কিছুই নেই। তাহলে একজন ওসি কীভাবে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেন? আমি ওই ওসি ও তার সহকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাশেদ রাব্বি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই থানায় কী হয়েছে এবং এই মামলায় কারা সংশ্লিষ্ট আছেন তা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে তদন্ত করা হোক। একজন সিনিয়র সাংবাদিকের পরিবারকে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হচ্ছে, তার বিচার আপনার কাছে চাচ্ছি।

‘এই সিনিয়র সাংবাদিক ও তার পরিবারকে যেন আর কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয় সে দাবি আপনার কাছে জানাচ্ছি। অন্যথায় প্রয়োজনে এর সুরাহার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করব।’

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ওসি নিজেই স্বীকার করেছেন মামলার এজাহারে সব সত্যি কথা লেখা হয় না, তার এ কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে মামলাটি মিথ্যা এবং এ ধরনের মিথ্যা মামলা আগেও হয়েছে।

‘দীর্ঘদিন থেকে কামরুন্নাহার শোভা আপার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে অতিদ্রুত এসব মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চায় ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

মানবন্ধনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোবারক বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন আদালতে এখন ৪০ লাখ মামলা ঝুলে আছে। এ ধরনের মিথ্যে মামলার কারণে মামলার জট বাড়ছে। সরকারের প্রতি অনুরোধ এ ধরনের মিথ্যে মামলার সংখ্যা আর বাড়াবেন না।’

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘মিথ্যে কারণে সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে এ হয়রানি অমানবিক। সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর