যশোরের শার্শায় স্ত্রীকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে আসামি খলিলুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় খলিলুর পলাতক ছিলেন। তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
যশোরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সামছুল হক মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহ আলম।
আসামি খলিলুরের বাড়ি শার্শা উপজেলার বেনাপোল পুটখালী গ্রামে। আর তার স্ত্রী নিহত রেহেনা খাতুনের বাবার বাড়ি শার্শার ইছাপুর গ্রামে।
রেহেনা ও খলিলুরের বিয়ে হয় ১৯৯৯ সালে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শ্যালিক মিনা খাতুনকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন খলিলুর। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তার মনোমালিন্য শুরু হয়।
কিছুদিন পর মিনাকে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয় পরিবার। এতে ক্ষেপে গিয়ে রেহেনার উপর নির্যাতন শুরু করেন খলিলুর। রেহানা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। সে বছরের ১৪ জুন দুপুরে ওই বাড়ি গিয়ে সিনেমা দেখতে নেয়ার কথা বলে রেহেনাকে নিয়ে যান খলিলুর। এরপর থেকে রেহেনা নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন সকাল ৭টায় ইছাপুরের একটি মাঠ থেকে রেহেনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যা সন্দেহে পরদিন তার মা আবেদা খাতুন শার্শা থানায় খলিলুরের নামে মামলা করেন। খলিলুর তখন থেকেই পলাতক।
তদন্তে উঠে রেহেনাকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন খলিলুর।