ব্যবসায়ের অংশীদার করবেন এমন আশ্বাস দিয়ে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের সাবেক পরিচালক ফাতেমা বেগম। কিন্তু ২০১৭ সালে টাকা দেয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কোনো অংশীদারত্ব পাননি ওই যুবক। এমনকি টাকা নেয়ার কথাও অস্বীকার করেন ফাতেমা।
এ ঘটনায় ২০২০ সালে অর্থ আত্মসাৎ ও চেক প্রতারণার দায়ে ফাতেমার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হোসেন। অবশেষে মামলার রায়ে উইম্যান চেম্বারের সাবেক পরিচালক ফাতেমা বেগমকে বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৩ বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ড. আবুল হাসনাতের আদালত এই রায় দেয়।
সাজাপ্রাপ্ত ফাতেমা বেগম বর্তমানে পলাতক আছেন। তিনি নগরের পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর আবদুল লতিফ রোডের মৃত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অর্থ আত্মসাৎ ও চেক প্রতারণার ৬টি মামলায় আদালত বিভিন্ন মেয়াদে আসামি চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের সাবেক পরিচালক ফাতেমা বেগমকে মোট ৩ বছর ১০ মাস সাজা দিয়েছেন। পাশাপাশি ৫৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশসহ তাকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।