বাগেরহাটের মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌরুটে কার্গোর ধাক্কায় নৌকার এক মাঝি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কার্গো জব্দসহ কার্গো ১১ মাস্টারকে আটক করেছে ঘষিয়াখালী নৌপুলিশ।
পশুর নদীর ঘষিয়াখালী অংশে সোমবার সকাল ৯টার দিকে এমভি কাজী সোনিয়া-১ কার্গোর ধাক্কায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘষিয়াখালী নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৫৫ বছরের ফারুক হোসেন খলিফা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী গুচ্ছগ্রামের আলকাস হোসেনের ছেলে। তিনি পশুর নদীতে খেয়া পারাপার করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে পরিদর্শক শরিফুল বলেন, ‘ফারুক প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরে খেয়া পারাপারে যান। সকাল ৯টার দিকে তিনি টার্মিনালে নৌকা বেঁধে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় এমভি কাজী সোনিয়া-১ নামের কার্গোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টার্মিনালের ওপর উঠে যায়।
‘এতে টার্মিনালের ভেঙে পড়া একটি লোহার পিলারের চাপায় ঘটনাস্থলেই ফারুক মারা যান। দুর্ঘটনায় ফারুকের একটি হাতও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কার্গোটি আমার স্বামীকে তো নিয়েছেই, আমাদের আয়ের একমাত্র সম্বল নৌকাও ধ্বংস করেছে। এখন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আমি কীভাবে সংসার চালাব? হত্যাকারীদের সঠিক বিচার চাই।’
বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিপন হোসেন তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফারুক দরিদ্র মানুষ ছিলেন। খেয়ে না খেয়ে তার সংসার চলত। হতদরিদ্র এই পরিবারটির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।’
পরিদর্শক শরিফুল বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা কার্গোটিকে আটক করেছি। এ সময় কার্গোর মাস্টারসহ ১১জনকে আটক করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।