বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি, পুলিশের ‘লাঠিপেটা’

  •    
  • ২১ মে, ২০২২ ১৬:৫৫

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘আমরা আজকে ত্রাণ বিতরণের জন্য ১২০ জনের তালিকা করেছিলাম। তবু ২০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী রাখা হয়েছিল। কিন্তু তালিকার বাইরেও প্রচুর মানুষ এসে যাওয়ায় একটু ঝামেলা হয়েছে।’

সিলেটে ত্রাণ নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ত্রাণ নিতে আসা বন্যাকবলিতরা।

কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে শনিবার সকালে এমন ঘটনা ঘটে।

লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী।

বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে মন্ত্রী সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকায় আসেন। মন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণের খবরে সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হন হাজারও মানুষ। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাত্র ২০০ প্যাকেট ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ৪/৫ জনের হাতে প্যাকেট তুলে দিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এরপর তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের মাঝে কাড়াকাড়ি ও হট্টগোল শুরু হয়। এস ময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে।

ত্রাণ নিতে আসা কোম্পানীগঞ্জের বর্ণি এলাকার বাসিন্দা হাসমত আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘরে এক সপ্তাহ ধরে পানি, খাবার নেই। মন্ত্রী ত্রাণ নিয়ে এসেছেন শুনে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু ত্রাণ তো পাইনি, উল্টো পুলিশের মার খেলাম।’

তবে লাঠিপেটার কথা অস্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘ত্রাণের প্যাকেট সীমিত সংখ্যক। এ সময় উপস্থিত মানুষের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ তাদের শান্ত করেছে। তবে কাউকে লাঠিপেটা বা মারধর করেনি।’

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য আগের দিনই ১২০ জনের তালিকা করা হয়েছিল। তাদের ত্রাণ নেয়ার জন্য সকালে উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু সকালেই হাজারখানেক মানুষ সেখানে জড়ো হওয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আজকে ত্রাণ বিতরণের জন্য ১২০ জনের তালিকা করেছিলাম। তবু ২০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী রাখা হয়েছিলে। কিন্তু তালিকার বাইরেও প্রচুর মানুষ এসে যাওয়ায় একটু ঝামেলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে মন্ত্রী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। যেহেতু মন্ত্রীর অনুষ্ঠান, তাই বেশি মানুষকে বলা হয়নি। কিন্তু আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক ত্রাণ আছে। পর্যায়ক্রমে বন্যাকবলিত সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।’

এর আগে ত্রাণ বিতণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক ত্রাণ আছে। ত্রাণ সামগ্রীর অভাব নেই। প্রশাসন ইতোমধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে।’

বন্যার্তদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকেন, আপনাদের কয়েকদিনের জন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমরা চেষ্টা করব কীভাবে আপনাদের কষ্ট কমানো যায়। আর পানি নেমে যাওয়ার পর আপনাদের পুণর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’

গত ১১ মে থেকে ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ বন্যা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর একটি। এই উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন। আর জেলায় মোট পানিবন্দি রয়েছেন ১৫ লাখ মানুষ।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাতে এখনও ১০০ টন চাল রয়েছে। আজকেও বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮৫ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। ইতোমধ্যে ৩০৫ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। নগদ অর্থও বিতরণ করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর