মেহেরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গাংনী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন।
পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, গাংনীর বামন্দী, তেঁতুলবাড়িয়া, মঠমোড়া ও গাজীপুর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
গাংনীতে শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হয় ঝড়। প্রায় ১০ মিনিটের ঝড়ের সঙ্গে কয়েক মিনিট শিলাবৃষ্টিও হয়। জায়গায় জায়গায় উপড়ে পড়ে গাছ, ছিঁড়ে যায় বৈদ্যুতিক তার।
ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোগলবাড়িয়া, বাওট ও আকুবপুর গ্রাম। উড়ে গেছে কয়েকটি বাড়ির টিনের চাল। আমসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আম চাষি মো. কুতুব বলেন, ‘ভোরে হঠাৎ ১০ মিনিটের ঝড়ে আমার বাগানের অনেক আম পড়ে গেছে। আর ১৫ থেকে ২০ দিন পরই আম পাকা শুরু হতো। এই আমগুলো এখন নামমাত্র দামে বিক্রি করতে হবে।’
সড়কে গাছ পড়ে ভোর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচলও বন্ধ ছিল।
বাসচালক মো. গোলাম বলেন, ‘আমি ভোরবেলা গাড়ি নিয়ে আকুবপুরে ঢুকতেই ঝড় শুরু হয়। রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে ছিলাম। এরপর গাছ সরানো হলে জেলা শহরে আসি।’
পল্লীবিদ্যুতের বামন্দী শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক হানিফ রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার অফিসের অধীন প্রায় ১২টি পোল ভেঙে চার ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।’
ফসলের ক্ষতির বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শামসুল হক জানান, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই জানা সম্ভব হয়নি।