বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বলাৎকারের অভিযোগ, ধর্মীয় শিক্ষক আত্মগোপনে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ মে, ২০২২ ০২:১৩

বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্য জানান, বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। তবে কেউ যদি শিক্ষক আবু সাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আবু সাদের বিরুদ্ধে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই সস্ত্রীক আত্মগোপনে আছেন আবু সাদ নামের ওই শিক্ষক।

অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাদ শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের জাহাজঘাটা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কালীগঞ্জের জাফরপুর গ্রামে একটি বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে তিনি হেফজখানা পরিচালনা করে আসছিলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আট মাস আগে তার ১১ বছর বয়সী ছেলেকে আবু সাদের হেফজখানায় ভর্তি করেছিলেন। ভর্তি করার কিছুদিন যেতে না যেতেই তার ছেলেকে গভীর রাতে কৌশলে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করতেন আবু সাদ। বিষয়টি কাউকে জানালে খুন করার ভয় দেখানো হতো শিশুটিকে।

যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত বুধবার বলাৎকারের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায় ভুক্তভোগী শিশু। পরে স্থানীয় তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে ছেলেকে নিয়ে থানায় যান তিনি। কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বিস্তারিত জানার পর উপপরিদর্শক আবু সাঈদকে জাফরপুর গ্রামে পাঠান। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান ওই শিক্ষক।

ওই শিক্ষক বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের আগেও অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীঘটিত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

এ বিষয়ে বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্য জানান, বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। তবে কেউ যদি শিক্ষক আবু সাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট জানান, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ওসির সঙ্গে কথা বলে ভুক্তভোগী ও তার বাবাকে থানায় পাঠান তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাদের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

থানা সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাদের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিশুটির বাবা শুক্রবার সকালে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

এ বিভাগের আরো খবর